একটি মাল্টিটাস্কিং অপারেটিং সিস্টেম একসাথে একাধিক প্রোগ্রাম বা অ্যাপ চালাতে পারে।
এর জন্য, OS টি তে কিছু কাজ করার ক্ষমতা থাকতে হবে, যেমন মাইক্রোপ্রসেসর, নির্দেশাবলী এবং প্রক্রিয়াগুলি নিয়ে কি ভাবে কাজ করবে তা পরিচালনা করা । এবং এই সব প্রক্রিয়া করার জন্য প্রয়োজনীয় ডেটা মূল মেমরি তে কিভাবে সংরক্ষণ করা হবে তা পরিচালনা করা।
অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন এবং আইফোনে যে ভাবে মাল্টিটাস্কিং করে তা কম্পিউটারের থেকে অনেকটাই আলাদা ।
স্মার্টফোনে মাল্টিটাস্কিং
স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে মাল্টিটাস্কিং ব্যাপারটা কম্পিউটারের থেকে বেশ খানিকটা আলাদা স্মার্টফোনে একসঙ্গে অনেকগুলো এপ্লিকেশন ওপেন থাকতে পারে। তার মানে এই নয় যে তারা সবসময় একসঙ্গে মাল্টিটাস্কিং করছে। এক্ষেত্রে এপ্লিকেশন তিন ধরনের পরিস্থিতি বা অবস্থায় থাকতে পারে: রানিং, সাসপেন্ড (ঘুমন্ত) এবং বন্ধ।
এ ক্ষেত্রে কোন এপ্লিকেশন টি কখন রানিং অবস্থায় থাকবে এবং কোনটি সাসপেন্ডেড অবস্থায় থাকবে সেটি সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে স্মার্টফোনের OS এর ওপর। যা মাল্টিটাস্ক পরিচালনা করে, আপনাকে খুব বেশি নিয়ন্ত্রণ দেয় না।
যখন কোনও অ্যাপ্লিকেশন রানিং অবস্থায় থাকে, তখন এটি foreground এ থাকে এবং এটি আপনার বাবহারে লাগছে। যখন কোনও অ্যাপ্লিকেশন রানিং থাকে, এটি কম্পিউটারে অ্যাপ্লিকেশনগুলির মতো কমবেশি কাজ করে, যেমন নির্দেশাবলী প্রসেসর করা এবং মেমোরি ব্যবহার করা। যদি এটি কোনও নেটওয়ার্ক অ্যাপ হয় তবে এটি ডেটা গ্রহণ এবং প্রেরণ করতে পারে।
বেশিরভাগ সময়, স্মার্টফোনে অ্যাপ্লিকেশনগুলি সাসপেন্ড (ঘুমন্ত) অবস্থায় থাকে।
ধরুন আপনি কোন কাজ করছেন এবং হঠাৎ করে পেছন থেকে আপনার এক বন্ধু আপনাকে স্ট্যাচু বলেছে, এখন আপনি স্ট্যাচুর মত দাড়িয়ে আছেন। স্থগিত থাকা অবস্থায় অ্যাপ্লিকেশনগুলি খানিকটা একইরকম পরিস্থিতি হয়।
মাল্টিটাস্কিং এবং ব্যাটারি লাইফ
একটি সাসপেন্ড অ্যাপ্লিকেশন কোনও রকম প্রসেসরের শক্তি বা কোনও মেমরি ব্যবহার করে না এবং কোনও ডাটা গ্রহণ করে না – এটি নিষ্ক্রিয়। সুতরাং এটি কোনও অতিরিক্ত ব্যাটারি শক্তি গ্রহণ করে না। এই কারণেই স্মার্টফোনগুলি বেশিরভাগ অ্যাপ্লিকেশন background চালনার জন্য যখন সাসপেন্ড মোড গ্রহণ করে; তারা ব্যাটারি শক্তি সঞ্চয় করে।
ফাস্ট চার্জিং – অন্য সব কিছু ঠিক রেখে যদি মোবাইল এর চার্জিং টাইম টা কমানো যায় তাহলে ব্যাটারি লাইফ সম্পরকিত অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে, ফাস্ট চার্জিং সেটাই করে।