Cybercrime – সাইবার ক্রাইম
আধুনিক যুগে অত্যাধুনিক উপায় লোক ঠকানোর পদ্ধতি হচ্ছে cyber-crime। দিনে দিনে যেমন internet ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে এবং তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে cyber-crime এর সংখ্যা।
Cyber-crime এর বিভিন্ন ধরন রয়েছে কিন্তু তাদের মধ্যে যেটি সবথেকে ভয়াবহ আকার নিয়েছে সেটি হল বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাথে যুক্ত বিভিন্ন অপরাধ।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অপরাধী cyber-crime এর পরিণতি না জানার ফলেই এটি করে থাকে। বিভিন্ন দেশে এই cyber-crime ঠেকানোর জন্য বিভিন্ন রকম আইন কানুন রয়েছে।
তবে কোন রকম cyber-crime থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য কোন আইনের ওপর নির্ভর না করে আমাদের নিজেদের এ বিষয়ে একটু বেশি সচেতন হওয়া উচিত। এবং এই সচেতনতা প্রথম পদক্ষেপ হলো বিষয়টি সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা।
Cybercrime কি ? What is Cybercrime in bangla?
যদি কোন অপরাধিক কার্যকলাপের সঙ্গে কোন networking device এবং network যুক্ত থাকে তবে আমরা তাকে cybercrime হিসাবে ধরতে পারি।
অর্থাৎ digital মাধ্যমের সাহায্যে যেকোনো অপরাধী কার্যকলাপকে আমরা cybercrime বলতে পারি।
মূলত এই cybercrime করার পেছনে প্রধান উদ্দেশ্য হলো অপরাধীর আর্থিক লাভ, কিন্তু এছাড়াও বেশ কিছু cybercrime সংগঠিত হতে পারে যার প্রধান উদ্দেশ্য হল কোন সংগঠনকে ক্ষতিগ্রস্ত করা।
প্রাত্যহিক জীবনে আমাদের সামনে যে সমস্ত cyber অপরাধ সবথেকে বেশি ঘটে সেগুলি হল, digital মাধ্যমের সাহায্যে কাউকে ধুমকি দেওয়া এবং কারোর digital device এর মধ্যে virus implant করা বা করতে সাহায্য করা।
অন্যান্য অপরাধের থেকে digital মাধ্যমের অপরাধ আমাদের কাছে অপেক্ষাকৃত নতুন তাই এ সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান সীমিত। সুতরাং আমরা প্রতিদিন অনলাইনে যে সমস্ত কাজকর্ম করি, হতে পারে তার মধ্যে কিছু digital অপরাধ এর মধ্যে পড়ে।
এই দিক থেকে বিচার করলে আমরা সাইবার অপরাধ কে দু রকম ভাবে ভাগ করতে পারি, এর মধ্যে একটি হলো জেনে অপরাধ করা অর্থাৎ intentional damage এবং অপরটি হল তথ্যের অভাবে না জেনে ভুল করা অর্থাৎ unintentional damage।
অবশ্যই পড়ুন
- cyber security কি?
- আপনার Gmail Account এর Security বাড়াবেন কি ভাবে ?
- জিমেইল এর পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করবেন কি ভাবে ?
Cybercrime এবং Cybercriminal দের ধরতে না পারার কারন
অন্যান্য অপরাধের তুলনায় cybercrime এরসংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে, এবং এর পেছনে মূল কারণ হলো সাইবার অপরাধীদের ধরা এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অসুবিধা।
এই অসুবিধা হওয়ার পেছনে মূল কারণ হলো প্রতিমুহূর্তে cyber অপরাধের ধরন পরিবর্তন, এবং এই পরিবর্তিত ধরনকে আইনি ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় সময়।
সাইবার ক্রাইম এর প্রকারভেদ – Types of Cybercrime in bangla
আইনত অপরাধ বলে স্বীকৃত এমন অনেক ধরনের cyber অপরাধ রয়েছে। এদের মধ্যে অধিকাংশই financial gain এর জন্য সংগঠিত হয়ে। যেমন –
Hacking
Hacking hackingয়ের অর্থগুলো কাউকে না বলে তার কম্পিউটার অ্যাক্সেস করা। hacking মানেই যে ক্ষতিকারক কিছু কাজকর্ম হতে হবে তা ঠিক নয় । computer এর মধ্যে থাকা কোন software এর ডিজাইন এর সাধারণ পরিবর্তনকেও hacking হিসেবে ধরা যেতে পারে কারণ এটি ওই software ডিজাইনের সার্ভিস এগ্রিমেন্ট এর অন্তর্ভুক্ত নয়, যদিও এটি এমন কোন শাস্তিমুলক অপরাধ নয় তবুও এটিও hacking এর মধ্যে পড়ে।
অন্যান্য সব cybercrime গুলির মধ্যে hacking এর অপরাধ সবথেকে বেশি। যদিও সব hacker রা অপরাধী নয়, এমন কিছু hacker রয়েছেন যাদের আমরা হোয়াইট হ্যাট hacker বলে থাকি। software company গুলো এই সমস্ত hackerদের সাহায্যে ব্ল্যাক হ্যাট hacker থেকে নিজেদের কোম্পানি কে রক্ষা করে।
Viruses, Worms, Malware এবং Ransomware
বিভিন্ন পদ্ধতিতে আমাদের computer এর বা digital device গুলোর মধ্যে নানান ধরনের malicious software ঢুকতে পারে। malware , viruses এবং worms এর ক্ষেত্রে এটি হয় কোন কিছু download এর মাধ্যমে ।
আবার অনেক ক্ষেত্রে ইমেইলের মাধ্যমে virus deviceের মধ্যে চলে আসে।
Email bombing বা spamming, অথবা Denial-of-Service (DOS) attack
এই সমস্ত অ্যাটাক এর ক্ষেত্রে সাধারণত অনেক বেশি পরিমাণ ইনফর্মেশন সার্ভারে এসে উপস্থিত হয় যার ফলে সার্ভার সেটিকে কন্ট্রোল করতে না পারায় সার্ভার ক্রাশ করে।
DOS attack এর অর্থ হলো হঠাৎ করে বিপুল পরিমাণ ফেক ট্রাফিক কোন ওয়েবসাইটে এসে উপস্থিত হয় হওয়া, যার ফলে সার্ভারে অনেক বেশি পরিমাণ লোক এসে পড়ে আর এর ফলস্বরূপ সেই ওয়েবসাইটটি ক্রাশ করে অথবা অনেক ক্ষেত্রে ওয়েবসাইটটি ভুলভাল কাজ করতে শুরু করে। ডস অ্যাটাক সাধারণত খুব পরিকল্পনামাফিক করা হয়।
নিচে বিভিন্ন ধরনের cybercrime বিস্তারিত আলোচনা করা হলো
Cybercrime এর উদাহরন – Example of Cybercrime in bangla
Cyberextortion
এই ধরনের অপরাধ সাধারণত অ্যাটাক করা বা এটা করার হুমকি দিয়ে শুরু হয় এবং আর্থিক দাবিতে গিয়ে শেষ হয়। থাক অপরাধকারী প্রথমে এটা করে বা ওটা করার হুমকি দেয় তারপর অর্থের বিনিময়ে সেই অ্যাটাক বন্ধ করার প্রস্তাব দেয়।
Cyberextortion
এর একটি পরিচিত রূপ হল ransomware attack। এই ধরনের attack এ অপরাধী প্রথমে কোন organization এর system এ hacking এর মাধ্যমে প্রবেশ করে এবং তার document গুলি encrypt করে ফেলে এবং তারপরে সেই সমস্ত encrypted document গুলোকে আবার আগের format এ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আর্থিক দাবি রাখে।
Cryptojacking
Cryptojacking বা malicious cryptomining হল একটু অন্য ধরনের cybercrime। এক্ষেত্রে victim এর system এ cryptocurrency mining software load করান হয়। যা ব্যবহারকারীর অজান্তে cryptocurrency mining করতে থাকে।
Identity theft
যখন কোন অপরাধই কোন ব্যক্তির পার্সোনাল আইডেন্টিফিকেশন ইনফরমেশন ( যেমন নাম আইডেন্টিফাই নাম্বার বা ক্রেডিট কার্ড নাম্বার) তার অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করে কোন নিজস্ব স্বার্থ উদ্ধার করে তখন তাকে আমরা আইডেন্টিফিকেশন বলতে পারি।
সাইবার অপরাধীরা darknet market এর সাহায্যে এই সমস্ত identity information কেনাবেচা করে থাকে। এই Personal information বিভিন্ন ধরনের হতে পারে যেমন- financial account সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য, webmail, video অথবা audio streaming, Personal health information ইত্যাদি।
Credit card fraud
An attack that occurs whenএই ধরনের অ্যাটাক হয় যখন কোন hackers কোন retailer এর systems এ ঢুকে customer এর credit card বা banking information চুরি করে। এবং এই সমস্ত চুরি করা payment card এর ইনফর্মেশন darknet market এ বিপুল পরিমাণে কেনাবেচা হয়ে থাকে। আর এই সমস্ত অপরাধী hacking group গুলি এই সমস্ত information বিপুল পরিমাণে চুরি করে যাতে তারা ছোটখাটো cyber অপরাধীদের কাছে বিক্রি করতে পারে।
Cyberespionage
এই ধরনের crime এ cybercriminal রা কোন government অন্য organization এর system বা networks এর মধ্যে ঢুকে , এবং সেখান থেকে গুরুত্ব confidential information চুরি করে।
এই সমস্ত Attacks এর পেছনে বিভিন্ন কারণ যেমন আর্থিক লাভ অথবা বিচার গত পার্থক্য।
Cyberespionage activities বিভিন্ন ধরনের হতে পারে যেমন – gather, modify বা destroy data, আবার অনেক সময় network-connected devices(যেমন webcams বা closed-circuit TV (CCTV) cameras) ব্যবহার করে কোন এক নির্দিষ্ট ব্যক্তি কে spy করা ইত্যাদি।
Software piracy
কোন copyright যুক্ত software , বিনা অনুমতি তে ব্যবহার করা টাও একটা cybercrime। Trademark violations, copyright infringements এবং patent violations এই cybercrime এর অন্তর্ভুক্ত।
Phishing
এই ধরনের cyber অপরাধের সাথে spam email যুক্ত। এক্ষেত্রে অপরাধী সাধারণত বিভিন্ন আকর্ষণীয় email message পাঠিয়ে বিভিন্ন ব্যবহারকারীকে এমন ভাবে আকৃষ্ট করে যে ব্যবহারকারী নিজের securityর কথা পুরোপুরি ভুলে যায়।
উদাহরণস্বরূপ ধরা যাক আপনার কাছে একটি email এসেছে এবং সেখানে বলা আছে এটি আপনার ব্যাংক থেকে পাঠানো হয়েছে, এবং এই email টি পাঠানো পেছনে কারণ হচ্ছে ব্যাংকের কর্মকর্তারা আপনার account এ কিছু সন্দেহজনক কার্যকলাপ লক্ষ্য করেছেন।
এরপরে email এর মধ্যে একটি link দেওয়া আছে দিতে গিয়ে আপনাকে একবার login করতে বলা হয়েছে যাতে ব্যাংকের কর্মকর্তারা বুঝতে পারেন যে আপনার bank-account টি hack হয়নি।
এরপর email টি তে যে link টি দেওয়া রয়েছে সেটি আসলে একটি malicious site এর link। যেখানে গিয়ে login করলে অপরাধী আপনার username এবং password দুটোই পেয়ে যাবে।
Phishing অপরাধের সাথে যুক্ত campaign গুলি infected contain attachment করে বা malicious site এর link যুক্ত করে email message পাঠায়।
Cybercrime থেকে নিজেকে রক্ষা করার উপায় – How to protect yourself against cybercrime
এতক্ষণে আমরা cybercrime সম্পর্কে বেশ কিছুটা প্রাথমিক ধারণা অর্জন করেছি। এরপর আমাদের জানতে হবে এই সমস্ত hacking এর থেকে কিভাবে আমরা আমাদের personal data সুরক্ষিত রাখতে পারব।
Online এ নিজেদের personal data সুরক্ষিত রাখার জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়মাবলী পালন করলে মুশকিল আসান হয়ে যাবে। সেগুলি হল
Software এবং operating system গুলিকে update করা
আপনার কম্পিউটার এবং digital device এ সবসময় updated operating system এবং software ব্যবহার করা। যাতে এই সমস্ত software গুলোর মধ্যে থাকা আধুনিক security feature গুলি আপনি ব্যবহার করতে পারেন।
Anti-virus software ব্যবহার করা এবং এটিকে নিয়মিত updated করা
কম্পিউটার অথবা ডিজিটাল ডিভাইস গুলিতে একটি antivirus ব্যবহার করা উচিত। কারণ এই সমস্ত anti-virus company গুলি hacking জগতের বিভিন্ন কার্যকলাপ সম্পর্কে অবগত থাকে এবং সেই সমস্ত কার্যকলাপ থেকে আপনাকে রক্ষা করার জন্য যে সমস্ত protection দরকার সেগুলি update এর মাধ্যমে আপনার device এ প্রতিদিন পৌঁছে দেয়।
Strong password ব্যবহার করা
আপনার কাছে যত রকমের account ই থাকনা কেন তাদের প্রত্যেকটির জন্য এক একটি আলাদা strong password ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। এবং এই password গুলি যেন অন্যকেও guess করতে না পারে সেদিকেও লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন।
Email এর সঙ্গে আসা কোন attachment না open করা
আপনার কাছে কোন অজ্ঞাত email address থেকে কোনো email আসে এবং সেটিতে কোনো attachment পাঠানো হয় । সেটি আপনার computer এ open না করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
অজানা email address থেকে আসা mail এর link এ click না করা
কোন অপরিচিত email address থেকে আসা email এর মধ্যে কোন link এ click না করাই ভালো।
সরাসরি Company বা Bank এর সাথে যোগাযোগ করা
যদি কোন company বা bank এর নাম ধরে আপনার কাছ থেকে কোনরকম personal data জিজ্ঞাসা করা হয়, তবে সেটি সেই মুহূর্তে না দিয়ে ওই company বা bank এর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা উচিত।
যদি সেই মুহূর্তে যোগাযোগ করা সম্ভব না হয় তাহলে, যে phone number টি থেকে এই call টি করা হয়েছে সেই company বা bank এর website এ গিয়ে তাদের official phone number এর সঙ্গে মিলিয়ে নিয়ে তারপর সমস্ত information দেওয়া উচিত।