মোবাইল ডিভাইসে ব্যবহার করার জন্য বর্তমানে অনেক অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড এন্ড্রয়েড তাদের মধ্যে অন্যতম।
অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম আবিষ্কারের ফলে মোবাইল প্রযুক্তিতে অনেক দিক উন্মুক্ত হয়েছে। যেমন: অ্যাপ্লিকেশন, মোবাইল ওয়েব অ্যাক্সেস, এবং ক্রমবর্ধমান নির্ভরযোগ্যতা সহ অসংখ্য সম্ভাবনা তৈরি করেছে।
এর বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন এবং সফ্টওয়্যারের জনসাধারণের কাছ থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। যার ফল স্বারুপ আজ পৃথিবীর ৯০% মোবাইলে এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম বাবহ্রিত হয় ।
অ্যান্ড্রয়েড একটি অপারেটিং সিস্টেম যা বেশিরভাগ মোবাইলের জন্য ব্যবহৃত হলেও, বর্তমানে অন্যান্য ডিভাইসেও ব্যবহৃত হয়।
অ্যান্ড্রয়েড একটি খুব শক্তিশালী অপারেটিং সিস্টেম যা স্মার্ট ফোন, ট্যাবলেট এবং অন্যান্য ডিভাইসে প্রচুর সংখ্যক অ্যাপ্লিকেশন সমর্থন করে।
এন্ড্রয়েড কি | অ্যান্ড্রয়েড মানে কি
অ্যান্ড্রয়েড একটি অপারেটিং সিস্টেমের (application system) নাম যা মূলত স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট এ ব্যবহৃত হয়। সুতরাং এটি একটি মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম।
এই অপারেটিং সিস্টেমটি সেই সমস্ত মোবাইল ডিভাইসে ব্যবহার করা হয় যেখানে টাচস্ক্রিন রয়েছে।
অ্যান্ড্রয়েড একটি open source এবং Linux based অপারেটিং সিস্টেম।
এটি প্রথম 5 নভেম্বর, 2007 -এ চালু করা হয়েছিল। এটি মূলত Android Inc. দ্বারা বিকাশ করা হয়েছিল এবং পরবর্তীকালে 2005 সালে গুগল এটি কিনেছিল।
মূলত, অ্যান্ড্রয়েডকে একটি মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে ভাবা হয়। কিন্তু এটি শুধুমাত্র মোবাইলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।
এটি বর্তমানে বিভিন্ন রকমের ডিভাইস যেমন মোবাইল, ট্যাবলেট, টেলিভিশন ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়।
এন্ড্রয়েড এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
যদিও 2005 সালের জুলাই মাসে “Android Inc.” কোম্পানিটি কে “Google” প্রায় 50 million ডলার দিয়ে কিনে নিয়াছিল।
কিন্তু android Inc প্রতিষ্ঠাপিত হয়ে ছিল 2003 সালে । এটি প্রতিস্থা করে Andy Rubin, Rich Miner, Nick Sears এবং Chris White ।
আজ আমরা এন্ড্রয়েডকে একটি মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে জানি ।
কিন্তু প্রথম অবস্থায় এটি কোন মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম ছিলনা বরং এটি ছিল একটি ক্যামেরার জন্য ব্যবহৃত সফটওয়্যার।
যেহেতু সেই সময় ডিজিটাল ক্যামেরার ততবেশি চল ছিলনা তাই এর developer রা এটিকে ধীরে ধীরে মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমে পরিবর্তিত করে।
এরপর 2007 সালে যখন গুগোল এই কোম্পানিটি কে কিনে নিল। এরপর থেকে এন্ড্রয়েড পুরোপুরি একটি মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম “Android OS” হিসাবে বিকশিত হতে শুরু করল।
সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত গুগোল অ্যান্ড্রয়েড ওএস এর ওপর ক্রমাগত কাজ করে চলেছে এবং এটিকে একটি উন্নত অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে তৈরি করেছে।
এন্ড্রয়েড চালিত প্রথম স্মার্টফোনের নাম কি
এন্ড্রয়েড চালিত প্রথম বাণিজ্যিকভাবে উপলব্ধ স্মার্টফোনটি ছিল HTC Dream, যা T-Mobile G1 নামেও পরিচিত, 23 সেপ্টেম্বর, 2008-এ ঘোষণা করা হয়েছিল।

image from – wikipedia.org
এন্ড্রয়েড ভার্সন কি
ভার্শন শব্দের অর্থ এখানে সংস্করণ।
অন্যান্য সমস্ত সফটওয়্যার বা অপারেটিং সিস্টেমের মতনই এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমেও নতুন সুবিধা যোগ করা হয় এবং আগে যদি কোনো খামতি থেকে থাকে তাহলে সেগুলো কে ঠিক করা হয়।
পুরনো অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমটির ওপর এই সমস্ত কাজকর্ম করার পরে নতুন যে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমটি পাওয়া যায় সেটিকে অ্যান্ড্রয়েড এর নতুন ভার্সন বলা হয়ে থাকে।
অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণ আসলে অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মের সংস্করণ নির্দেশ করে। অ্যান্ড্রয়েড এর প্রতিটি সংস্করণ পর পর এক একটা সংখ্যা দ্বারা অভিহিত করা হয় । এই সংস্করণ সংখ্যা যত বড়, অ্যান্ড্রয়েড তত নতুন।
এন্ড্রয়েড ভার্সন সমূহ
Android OS Versions এবং তাদের নামে
Version name | Release date | |
Android 10 | – | 2019 Sep 3 |
Android 9 | Pie | 2018 Aug 9 |
Android 8.1 | Oreo | 2017 Dec 5 |
Android 8.0 | Oreo | 2017 Aug 21 |
Android 7.1.2 | Nougat | 2017 Apr 4 |
Android 7.1.1 | Nougat | 2016 Dec 5 |
Android 7.1 | Nougat | 2016 Oct 4 |
Android 7.0 | Nougat | 2016 Aug 22 |
Android 6.0.1 | Marshmallow | 2015 Dec 7 |
Android 6 | Marshmallow | 2015 Oct 5 |
Android 5.1.1 | Lollipop | 2015 Apr 21 |
Android 5.1 | Lollipop | 2015 Mar 9 |
Android 5.0.2 | Lollipop | 2014 Dec 19 |
Android 5.0.1 | Lollipop | 2014 Dec 2 |
Android 5.0 | Lollipop | 2014 Oct 17 |
Android 4.4.4 | KitKat | 2014 Jun 23 |
Android 4.4.3 | KitKat | 2014 Apr 14 |
Android 4.4.2 | KitKat | 2013 Dec 9 |
Android 4.4.1 | KitKat | 2013 Dec 5 |
Android 4.4 | KitKat | 2013 Oct 31 |
Android 4.3 | Jelly Bean | 2013 Jul 24 |
Android 4.2.2 | Jelly Bean | 2013 Feb 11 |
Android 4.2.1 | Jelly Bean | 2012 Nov 27 |
Android 4.2 | Jelly Bean | 2012 Nov 13 |
Android 4.1.2 | Jelly Bean | 2012 Oct 9 |
Android 4.1.1 | Jelly Bean | 2012 Jul 23 |
Android 4.1 | Jelly Bean | 2012 Jul 9 |
Android 4.0.4 | Ice Cream Sandwich | 2012 Mar 28 |
Android 4.0.3 | Ice Cream Sandwich | 2011 Dec 16 |
Android 4.0.2 | Ice Cream Sandwich | 2011 Nov 28 |
Android 4.0.1 | Ice Cream Sandwich | 2011 Oct 19 |
Android 4.0 | Ice Cream sandwich | 2011 Oct 18 |
Android 3.2.6 | Honeycomb | 2012 Feb 15 |
Android 3.2.4 | Honeycomb | 2011 Dec 15 |
Android 3.2.2 | Honeycomb | 2011 Sep 30 |
Android 3.2.1 | Honeycomb | 2011 Sep 20 |
Android 3.2 | Honeycomb | 2011 Jul 15 |
Android 3.1 | Honeycomb | 2011 May 10 |
Android 3.0 | Honeycomb | 2011 Feb 22 |
Android 2.3.7 | Gingerbread | 2011 Sep 21 |
Android 2.3.6 | Gingerbread | 2011 Sep 2 |
Android 2.3.5 | Gingerbread | 2011 Jul 25 |
Android 2.3.4 | Gingerbread | 2011 May 10 |
Android 2.3.3 | Gingerbread | 2011 Feb 9 |
Android 2.3 | Gingerbread | 2010 Dec 6 |
Android 2.2 | Froyo | 2010 May 20 |
Android 2.1 | Eclair | 2010 Jan 12 |
Android 2.0.1 | Eclair | 2009 Dec 3 |
Android 2.0 | Eclair | 2009 Oct 26 |
Android 1.6 | Donut | 2009 Sep 15 |
Android 1.5 | Cupcake | 2009 Apr 30 |
Android 1.1 | Banana bread | 2009 Feb 9 |
Android 1.0 | Apple pie | 2008 Sep 23 |
Android 0.9 | 2008 Aug 22 |
- No Codename (v1.0) – অ্যান্ড্রয়েড 1.1 “পেটিট ফোর” নতুন গুগল অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমের প্রথম আপডেট হিসাবে 2009 সালের প্রথম দিকে বাজারে আসে।
- Petit Four (v1.1) – স্পিচ রিকগনিশন টুলস, একটি ভার্চুয়াল কীবোর্ড, ইউটিউবের জন্য ভিডিও আপলোড সাপোর্ট এবং লাইভ ডাটা ফিড এবং লাইভ ফোল্ডারগুলির জন্য সমর্থন করা শুরু করে।
- Cupcake (v1.5) – সিডিএমএ স্মার্টফোন, অতিরিক্ত স্ক্রিন সাইজ এবং টেক্সট-টু-স্পিচ ইঞ্জিনের জন্য সমর্থন।
- Eclair (v2.0) – এই ভার্সনে প্রথম মাল্টি-টাচ ডিভাইস, নতুন ব্রাউজার ইন্টারফেস, মাইক্রোসফট এক্সচেঞ্জ সাপোর্ট, একাধিক অনলাইন অ্যাকাউন্ট পরিচালনার জন্য একক ইন্টারফেস, সফট কী সাপোর্ট, এবং একটি উন্নত ক্যামেরা অ্যাপ (ডিজিটাল সহ) জুম এবং ফ্ল্যাশ সমর্থন করে।
- FroYo (v2.2) – USB টিথারিং সাপোর্ট (স্মার্টফোনটিকে ওয়াই-ফাই হটস্পটে পরিণত করার জন্য), গতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি, ফ্ল্যাশ 10.1 সমর্থন, ব্লুটুথের উপর ভয়েস ডায়ালিং, অ্যাপস সংরক্ষণের ক্ষমতা বাহ্যিক মেমরি কার্ড, গুগল ক্রোমের ভি 8 জাভাস্ক্রিপ্ট সহ আপডেট করা ব্রাউজার।
- Gingerbread (v2.3) – মূল সংযোজন: ওয়াই-ফাই এর মাধ্যমে গুগল ভয়েস, উন্নত গেমিং কার্যকারিতা, উন্নত গুগল অ্যাপস।
- Honeycomb (v3.0) – এটি একটি ট্যাবলেট-কেন্দ্রিক আপডেট যা বড় স্ক্রিন সাইজ (বিশেষ করে ট্যাবলেট), গুগল টক প্রোটোকলের উপর ভিত্তি করে ভিডিও চ্যাট সমর্থন, নতুন সিস্টেম বার GPS অবস্থা এবং বিজ্ঞপ্তি এবং অ্যাপ্লিকেশন নিয়ন্ত্রণের জন্য অ্যাকশন বার, ট্যাবযুক্ত ওয়েব ব্রাউজিং, অপ্টিমাইজড সফট কীবোর্ড এবং একটি নতুন ইমেল ইন্টারফেস এটিতে প্রথম যুক্ত করা হয়।
- Ice Cream Sandwich (v4.0) – লিনাক্স কার্নেল v3.0.1 এর উপর ভিত্তি করে একটি স্মার্টফোন-কেন্দ্রিক আপডেট যা স্মার্টফোনে Honeycomb এর অনেক বৈশিষ্ট্য নিয়ে আসে, যার মধ্যে ফেস আনলক ফেসিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যার, ট্যাবযুক্ত ওয়েব ব্রাউজিং ক্ষমতা, গুগল টক প্রোটোকলের উপর ভিত্তি করে ইউনিফাইড সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং পরিচিতি, 1080p ভিডিও রেকর্ডিং ক্ষমতা এবং ভিডিও চ্যাট সমর্থন করে।
- Jelly Bean (v4.1, v4.2 and v4.3) – উন্নত প্রাকৃতিক ভাষা ভয়েস কমান্ড ক্ষমতা অ্যাপলের সিরির অনুরূপ, উন্নত ইন্টারফেস এবং “প্রজেক্ট বাটার” এর মাধ্যমে সামগ্রিক প্রতিক্রিয়াশীলতা, Google Now সমর্থন, একটি তে উন্নত ওয়েব ব্রাউজার,এবং বর্ধিত ফাইল ম্যানেজমেন্ট ক্ষমতা এবং আরও অনেক কিছু ছিল।
- KitKat (v4.4) – ফুল-স্ক্রিন ইমারসিভ মোড, নতুন ট্রানজিশন ফ্রেমওয়ার্ক এবং “প্রজেক্ট সেলভেট”, একটি প্রকল্প যা অ্যান্ড্রয়েড ওএসের মেমরির চাহিদা কমাতে শুরু করেছে।
- Lollipop (v5.0) – উন্নত উপাদান ডিজাইন ইউজার ইন্টারফেস, অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস জুড়ে উন্নত ধারাবাহিকতা, একাধিক ব্যবহারকারী সমর্থন, একটি অতিথি ব্যবহারকারী অ্যাকাউন্ট বিকল্প, একটি নতুন বিজ্ঞপ্তি সিস্টেম, 64-বিট CPU- র জন্য সমর্থন, এবং আরো অনেক কিছু।
- Marshmallow (“M Release”) (v6.0) – এখন ট্যাপ কার্যকারিতা এবং অন্যান্য Google Now উন্নত, নেটিভ ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রমাণীকরণ সমর্থন, অ্যান্ড্রয়েড পে ইন্টিগ্রেশন, ইউএসবি টাইপ-সি সমর্থন, উন্নত ব্যাটারি জীবন, আরও ভাল অ্যাপ ম্যানেজমেন্ট এবং আরও অনেক কিছু ছিল।
- Oreo (“O Release”) (v8.0) – Android Go মিনিমাইজড ভার্সন অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ওএস, পিকচার-ইন-পিকচার ভিডিও সাপোর্ট, নোটিফিকেশন গ্রুপিং, ব্লুটুথ 5 সাপোর্ট, ওয়াই-ফাই অ্যাওয়ার ফিচার এটি তে প্রথম যুক্ত করা হয়।
- Pie (“P Release”) (v9.0) -অ্যাডাপ্টিভ ব্যাটারি, ডিজিটাল ওয়েলইয়িং ড্যাশবোর্ড (স্ক্রিন টাইম ব্যবহার পর্যবেক্ষণ), অ্যাপ স্লাইস, স্বজ্ঞাত অঙ্গভঙ্গি, অভিযোজিত উজ্জ্বলতা এবং আরও অনেক কিছু।
- Android 10 (“Q Release”) (v10.0) – লাইভ ক্যাপশন, স্মার্ট রিপ্লাই, ডার্ক মোড, অঙ্গভঙ্গি নেভিগেশন, ফোকাস মোড, ফ্যামিলি লিঙ্ক এবং স্বয়ংক্রিয় চলমান নিরাপত্তা প্যাচ এবং আপডেট।
এন্ড্রয়েড এর বৈশিষ্ট্য সমুহ
Android একটি খুব ভাল platform হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। Android বৈশিষ্ট্যগুলি অন্যান্য platformগুলির চেয়ে Androidকে আরও ভাল করে তোলে। এই বৈশিষ্ট্য বা features গুলি হচ্ছে।
- User Interface – Android একটি সুন্দর এবং interactive user interface সরবরাহ করে যা ব্যবহার করা খুব সহজ।
- Multiple Language Support – Android, multiple languages support করে।
- Android messaging, web applications এবং video calling support করে।
- Media – Android সমস্ত ধরনের media formats(mp3, jpg, mp4, Flv)গুলি support করে।
- Connectivity – Android Bluetooth, wifi এবং hotspot এর মাধ্যমে network connectivity provide করে।
- Storage – Android storage management জন্য application provide করে যাতে আপনি storage management করতে পারেন।
- Applications – Android এ, আপনি পছন্দ মতো applications install করতে পারেন।
- Open Source – Android একটি open-source operating system, এর code এ প্রতিটি developer বিনামূল্যে পেতে পারে।