Skip to content
Home » কম্পিউটার কি ? – সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য, কত প্রকার ও কি কি » মাউস কি – মাউস কত প্রকার – কি কি ও বিভিন্ন কাজ

মাউস কি – মাউস কত প্রকার – কি কি ও বিভিন্ন কাজ

আজ বিশ্ব খুব দ্রুত গতিতে উন্নতি করছে। প্রতিটি দেশ আজ প্রযুক্তিতে কারও পিছনে থাকতে চায় না। এজন্য প্রতিটি কাজে কম্পিউটারের ব্যবহার শুরু হয়েছে। তাই কম্পিউটার কি তা আপনাকে অবশ্যই ভালোভাবে জানতে হবে।

যে কোন ব্যক্তি তার প্রাত্যহিক জীবনে যত কমই কম্পিউটার ব্যবহার করুন না কেন , তাকেও  এর সম্পর্কে জানতে হবে। 

কম্পিউটারে কাজ করার জন্য দুই ধরনের ডিভাইস ব্যবহার করা হয়, যা আমরা ইনপুট এবং আউটপুট ডিভাইস হিসেবেও জানি।

আজকের আর্টিকেলে আমরা মাউস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। যেখান থেকে মাউস কি, মাউস কে আবিস্কার করেন, মাউস কয় প্রকার এবং মাউস কিভাবে ব্যবহার করতে হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেব। 

মাউস কি?

মাউস (Mouse) একটি ইনপুট ডিভাইস (input device) যা কম্পিউটার স্ক্রিনে পয়েন্টার বা কার্সার নিয়ন্ত্রণ করে। এই পয়েন্টারটির মাধ্যমে, আমরা কম্পিউটারের ভিতরে বিভিন্ন ফাইল, ফোল্ডার এবং অন্যান্য সমস্ত option খুলতে, বন্ধ করতে, বা তাদের সম্পর্কে তথ্য পেতে ব্যবহার করি।

মাউস কম্পিউটারের ভেতরে একটা পয়েন্টারকে পরিচালনা করে এবং এই পয়েন্টার এর সাহায্যে বিভিন্ন কাজ করা হয় , তাই এটি কে পয়েন্টিং ডিভাইসও বলা হয়। 

কম্পিউটার ব্যবহারকারী মাউস ব্যবহার করে, কম্পিউটারকে কি করতে হবে তা নির্দেশ করে। এইভাবে এটি ব্যবহারকারী এবং কম্পিউটারের মধ্যে একটি ইন্টারফেস হিসাবে কাজ করে। 

কম্পিউটারের ক্ষেত্রে মাউসের ভূমিকার কথা বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হয় এটিই কম্পিউটারের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ বা ইনপুট ডিভাইস।  

কারণ সাধারণ কম্পিউটার  ব্যবহারকারীকে যদি বলা হয়, শুধুমাত্র keyboard এর সাহায্যে কম্পিউটারের প্রয়োজনীয় কাজ করতে তাহলে সেটা তার কাছে শাস্তির সমান হবে।

কম্পিউটার এমন একটি যন্ত্র যা কেবল একটি অংশ নয়, এর অনেকগুলি অংশ রয়েছে। এবং প্রত্যেকের জন্য একটি আলাদা কাজ নির্ধারিত রয়েছে। 

মাউস প্রধানত কম্পিউটারকে নির্দেশ দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হয়।  এটি কম্পিউটারের ভিতরে আমাদের জন্য হাত ও পায়ের মত কাজ করে।

মাউসে সাধারনত দুটি সুইচ থাকে  left ও right.  এবং দুটি সুইচ এর মাঝখানে একটি চাকার মত অংশ থাকে যাকে মউসের স্ক্রল কারা হয়।

 কম্পিউটারে লেফট এবং রাইট ক্লিক করে কাজ করবার জন্য, সুইচ দুটি ব্যবহার করা হয়। এবং চাকাটির সাহায্যে, কোন নির্দিষ্ট পেজকে scroll করা হয়। এইজন্য চাকাটিকে scroll button ও বলা হয়।

মাউসের সংজ্ঞা

মাউস হল একটি নির্দেশক যন্ত্র যা কোন সমতাল পৃষ্ঠের আপেক্ষিক গতি সনাক্ত করে (XY দিকের উপর ভিত্তি করে) কাজ করে। পয়েন্টার ( যা কম্পিউটার এর মধ্যে চলাচল করতে পারে) থাকার কারণে, এটি ব্যবহারকারীকে কম্পিউটারের ইন্টারফেস নিয়ন্ত্রণ এবং নেভিগেট করতে সাহায্য করে।

ইংরাজিতে মাউস এর সংজ্ঞা ( Definition of Mouse in English )

A mouse is a pointing device that works on the basis of  X-Y direction by detecting motion relative to the surface. Due to the motion of the pointer, it allows us to control and navigate the graphical user interface of the computer.

মাউস কে আবিষ্কার করেন?

1963 সালে Douglas C. Engelbart (1925-2013) মাউস আবিষ্কার করেন। যিনি একজন আমেরিকান প্রকৌশলী এবং আবিষ্কারক ছিলেন। জেরক্স পার্ক কর্পোরেশনে কাজ করার সময় তিনি কাজ করতেন।

মাউস পয়েন্টার কাকে বলে?

আপনি যখন কম্পিউটার চালু করেন, তখন কম্পিউটারের স্ক্রিনে তীরের মত একটি চিহ্ন দেখতে পান। এটিকে মাউস কার্সার বলে। 

এই মাউস কার্সরকে কম্পিউটার স্ক্রিনে যে কোন জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়,  যা মাউস  এর সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করা হয় ।

 পয়েন্টার হিসাবে কম্পিউটার স্ক্রিনে আমরা যে তির চিহ্নটি দেখতে পাই সেটি আসলে একটি গ্রাফিক্যাল ইমেজ মাত্র। এটি বিভিন্ন আকৃতির হতে পারে। 

এই পয়েন্টার বা কার্সার তার কাজ অনুযায়ী তার ফর্ম পরিবর্তন করে। এছাড়াও ছাড়াও, আপনি আপনার পছন্দের পয়েন্টার ব্যবহার করতে পারেন।

মাউস কত প্রকার ও কি কি?

মাউস প্রধানত পাঁচ রকমের হতে পারে । যেমন  –

  •     Mechanical Mouse
  •     Optical Mouse
  •     Wireless Mouse
  •     Trackball Mouse
  •     Stylus Mouse

1. Mechanical Mouse (মেকানিক্যাল মাউস)

1972 সালে Bill English নামে একজন বেক্তি এই মাউস প্রথম তৈরি করেন।  মউসের গতিবিধি নির্ণয় করার জন্য এর মধ্যে একটি বল ব্যবহার করা হতো যার ফলে একে অনেক সময় Ball Mouse  বলা হয়ে থাকে। 

2. Optical Mouse (অপটিক্যাল মাউস)

এই মাউসে LED– Light Emitting Diode এবং DSP – Digital Signal Processing প্রযুক্তি র ওপর নির্ভর করে কাজ করে। অপটিক্যাল মাউসে কোন বল নেই। তার জায়গায়, একটি ছোট LED বাল্ব ইনস্টল করা থাকে।

এজন্য মাউস সরানো হলে পয়েন্টার টি ও সরতে থাকে। এবং এতে উপস্থিত বোতামের মাধ্যমে আমরা কম্পিউটারকে নির্দেশনা দিই। আজকাল প্রধানত এই ধরনের মাউসই ব্যবহার করা হয়।

3. Wireless Mouse (ওয়্যারলেস মাউস)

এই ধরনের মাউস গুলিকে কম্পিউটারের সাথে যুক্ত করার জন্য কোন রকম তার ব্যবহার করা হয় না তাই এদের Wireless Mouse বলে। এই ধরনের মাউস Radiofrequency technology র উপর ভিত্তি করে কাজ করে।   

ওয়ারলেস মাউস Radiofrequency  এর মাধ্যমে কিছু সিগনাল প্রেরণ করে যা কম্পিউটারের সাথে লাগানো Receiver  এর মাধ্যমে কম্পিউটারে গিয়ে পৌঁছায়। 

4. Trackball Mouse (ট্র্যাকবল মাউস)

এই ধরনের মাউসের কাজ করার ধরন অনেকটা অপটিক্যাল মাউসের মতোই। এখানে একটি বল লাগানো থাকে। এবং আঙুলের সাহায্যে, বলটি এদিক ওদিক ঘুরিয়ে মাউসটি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

5. Stylus Mouse (স্টিলুস মাউস)

 এই ধরনের মাউস কে gStick Mouse বলে । এগুলিকে অনেকটা পেন এর মত দেখতে। টাচস্ক্রিন ডিভাইসে এই ধরনের মাউস বেশি ব্যবহৃত হয়।

মাউস এর কাজ কি?

মাউস মূলত একটি ইনপুট ডিভাইস যার মাধ্যমে কম্পিউটার কি কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়। মাউসের মাধ্যমে কম্পিউটারের মধ্যে যে সমস্ত কাজ আমরা করতে পারি সেগুলি হল – 

  • Pointing (পয়েন্ট করা) – মাউস এর মাধ্যমে আমরা কম্পিউটারের স্ক্রিনে বিভিন্ন জিনিস কে Pointing করি বা নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করি। কম্পিউটার স্ক্রিনের অবস্থিত কোনকিছুর উপর Cursor কে নিয়ে যাওয়া হয়, তবে তার চারপাশে একটি চৌকোনা বক্সের মত তৈরি হয়। 
  • Clicking (ক্লিক করা) – কোন ফোল্ডার বা ফাইলের ওপর মউসের Cursor কে নিয়ে যাওয়ার পর যদি মউসের ডান বা বাম সুইচ চাপা হয় তবে তাকে ক্লিকিং বলে। মাউসের যে দুটি সুইচ থাকে তাদের নাম, left button ও right button। Left button এর সাহায্যে কোন ক্লিক করা হলে তাকে Left ক্লিক বলে এবং Right বাটন এর সাহায্যে কোন ক্লিক করা হলে তাকে right-click বলে।
  • Selecting (সিলেক্ট করা) – কোন নির্দিষ্ট ফাইলের ওপর মাউস পয়েন্টার নিয়ে গিয়ে, তার ওপর left ক্লিক করলে, সেই ফাইলটি select হয়ে যায়। এটিকেই Selecting বলে। কোন ফাইল select করবার পর তার চারপাশে একটি বর্ডার তৈরি হয়, যার থেকে বোঝা যায় নির্দিষ্ট ফাইলটি সিলেক্ট করা হয়েছে।
  • Drag and Drop (ড্রগ ও ড্রপ) – মাউস এর সাহায্যে কোন ফাইল বা ফোল্ডার এর উপর ক্লিক করে ধরে রাখা অবস্থায় যদি সেটিকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় টেনে নিয়ে যাওয়া হয় তবে তাকে ড্রাগ করা বলে। এবং তারপর ক্লিক টি ছেড়ে দিলে সেই ফাইল বা ফোল্ডার টি সেখানে স্থানান্তরিত হয়। ক্লিক ছেড়ে দিলে তাকে ড্রপ করা বলে 
  • Scrolling (স্ক্রলিং) – কোন নির্দিষ্ট পেজ কে উপর থেকে নিচে স্কল করবার জন্য মাউসের দুটি সুইচ এর মধ্যে থাকা চাকাটির প্রয়োজন হয়। মাউসের চাকাটি ঘোরালে তাকে স্ক্রোলিং বলে।

মাউস এর ব্যবহার কেনো করা হয়

  • এটি সম্পূর্ণ কম্পিউটার স্ক্রীন এর যেকোনো স্থানে কার্সার বা পয়েন্টার সরানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। 
  • কম্পিউটার স্ক্রিনে উপস্থিত ফাইল এবং ফোল্ডারগুলি নির্বাচন করতে, আমরা মাউস ব্যবহার করি।
  • এর সাহায্যে যে কোনও সফ্টওয়্যার, ফাইল বা ফোল্ডার খুলতে বা বন্ধ করতে পারেন।
  • ফাইলগুলিকে কপি পেস্ট না করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় Drag and Drop করার জন্য।
  • কোন লম্বা ডকুমেন্ট পড়ার সময় স্ক্রল করার জন্য ।
  • কোন ফাইল এবং ডকুমেন্ট না open করেও পয়েন্টারটি তার ওপর নয়ে গিয়ে তার সম্পর্কে তথ্য দেখতে পাই।
  • এর ডান ক্লিকের মাধ্যমে, আপনি অনেক কাজ সম্পন্ন করতে পারেন। যেমন Open, Copy, Paste, Cut, Delete, Rename, Properties ইত্যাদি।
error: